দৈনিক দ্বীপ ভোলা অনলাইন ডেস্ক ঃ প্রতিনিয়তই নিজেকে ছাড়িয়ে যান সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ব্যতিক্রম হলো না। ব্যাটে-বলে দলের জয়ে ভূমিকা রেখে তিনিই হয়েছেন সিরিজসেরা। দল জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু, সিরিজসেরা হয়েও স্বস্তির ঢেঁকুর তুলছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে জানালেন, আরও ভালো কিছু করতে পারলে খুশি হতেন তিনি।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জিতেছে সফরকারীরা। এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। এ ছাড়া এই জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগে ৩০ পয়েন্ট পেল লাল-সবুজের দল।
ব্যাটে-বলে ভূমিকা রাখা সাকিব হয়েছেন সিরিজসেরা। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৪৫ রান করেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন আটটি উইকেট। এর মধ্যে এক ম্যাচে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সব মিলে সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তাই যথারীতি সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
ওয়ানডেতে এই নিয়ে সপ্তমবার সিরিজসেরা হলেন সাকিব। সিরিজসেরার বিশ্বরেকর্ডে যৌথভাবে চতুর্থস্থানে আছেন বাংলাদেশি তারকা। এ ছাড়া তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাকিব সিরিজসেরা হলেন ১৫ বার। ছাড়িয়ে গেলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসকে। তিনি হয়েছেন ১৪ বার। এখন সাকিবের ওপর দুজন আছেন। তাঁরা হলেন টেন্ডুলকার ১৯ বার এবং কোহলি ১৭ বার।
সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। দলে অবদান রাখতে পারা সবসময়ই বিশেষকিছু। যেভাবে অবদান রাখতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি। তবে ভালোর তো শেষ নেই। সেদিক থেকে আরও ভালো করতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগত। তবে যেভাবে সিরিজটি গেল, সেদিক থেকে খুশি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে এসে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারানো সহজ নয়। এই তিন ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, দলের তাতে কৃতিত্ব প্রাপ্য। বেশ কিছু পরিস্থিতি ছিল যখন আমাদের বেশ কিছু জায়গায় পরীক্ষা হয়েছে। আমরা ভালোভাবেই সেসব পরীক্ষায় উতরাতে পেরেছি। যেটা বললাম, যে ভালোর তো শেষ নেই বা উন্নতির শেষ নেই। এখান থেকে যেভাবে উন্নতি করতে পারি পরের সিরিজে, তার পরের সিরিজে এবং তার পরের সিরিজে—এভাবে উন্নতি করতে থাকলে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন হবে।
0 Comments